+8802589924917 | +8801511334466 pollisree@yahoo.com

Creating space to tackle violence against women and child marriage in Bangladesh

 

Young women in a Creating Spaces community group in Fazilpur, Dinajpur, Bangladesh raising their hands when asked, “who got married before they were ready?” photo: Abir Abdullah | Oxfam

"Who here was married before they were ready?" Every single woman raises her hand. The women tell us what it was like to be married at a young age, and how it not only affected their lives but the lives of their daughters and granddaughters as well.

This may sound like an odd question to ask a group of women. But in Bangladesh, where 52 per cent of women marry under the age of 18, it speaks to how serious the issue of child, early and forced marriage is in developing countries.

The cycle of child brides in Bangladesh

In the small northern Bangladesh town of Dinajpur, we meet an 18-year-old woman named Rubina. Her young daughter Jim is there, along with her mother, Lovely, and brother Faridul.

As Rubina tells us her story, they all wipe away tears. I do too, imagining what my life would have been like if I had been married at the age of 12.

Rubina was married off at a young age because of a deal her grandfather made before she was born. The understanding was that she would marry his friend's son. That deal resulted in a life where opportunities like school, friends and family were taken from her.

 

Faridul, Rubina and their mother Lovely sitting in front of their home in Fazilpur, Dinajpur, Bangladesh | Photo: Abir Abdullah/Oxfam

Rubina's mother, who looks to be my age – in her late thirties – could do nothing to help her daughter's situation.

She also married at a young age because she didn't know any other way and had to respect the wishes of the family patriarch.

Faridul, who cried quietly beside his sister as she spoke, felt powerless and unable to help. He told us later that even though he could see Rubina didn't want to get married, he was too young to stop it.

The cost of early marriage

Being married early comes with so many costs and the consequences are immense. Girls are usually pulled out of school when they are married – limiting their ability to participate in economic activities, curbing their access to knowledge and information, and restricting their social circles. They also have to deal with the reality of their new lives.

We heard countless stories about girls that were married off too young and weren't mature enough to deal with the huge responsibility of making and maintaining a family.

In most instances, these girls don't know how to care for themselves, let alone their husbands and their babies. The natural act of giving birth at such a young age, when their bodies aren't ready, has consequences for their health and the health of their children.

While Bangladesh has a law that states that girls must be 18 before they marry, the practice continues. But this is not an issue that is exclusive to Bangladesh. In India, 47 per cent of women between the ages of 20 and 24 years were married under the age of 18. In Nepal, it sits at 37 per cent.

These alarming numbers is one of the reasons Oxfam is running the project called Creating Spaces. The project, funded by Global Affairs Canada, focuses on tackling violence against women and girls and ending child, early or forced marriage. It prioritizes work on prevention, response and research around these important issues in six countries – Bangladesh, India, Indonesia, Nepal, Pakistan and the Philippines.

What does that look like in practice?

Our approach targets local laws and policies and how they are implemented. We work on the ground, in these countries, to facilitate knowledge-sharing between local partners and countries to generate widespread change.

We help individuals and institutions connect, share, learn and adapt approaches to ending violence against women and girls.

 

Khurshida Parveen Joli (40), advocate, District Judge Court, Dinajpur, Bangladesh. Photo: Abir Abdullah/Oxfam

We couldn't do the work without these local organizations, who are run by some fierce and feisty women that go to battle every day to change the attitudes and behaviours that perpetuate violence against women and girls.

 

Empowered women: Creating Spaces project coordinator, Shahnaj Parvin (L), CS project officer, Rownak Ara Haque (M) and Pollisree executive director Shamim Ara Begum (R) show their mettle in Rangpur, Bangladesh.

Smalls steps that are leading to change

Back in that small northern Bangladesh town of Dinajpur, where we met Rubina, we can see the project working. Community groups have been formed in Dinajpur that allow women, youth and men the space to talk about the issues that affect them and their families.

For Rubina, because of the information and strength she's gained from her community group, she has managed to convince her in-laws to let her finish school, and is now armed with knowledge about her rights.

Her mother also now knows that it was a mistake to marry Rubina so young, and has vowed that this will not happen to her granddaughter. Rubina's brother Faridul has become an advocate – active in the youth group, re-writing traditional songs to include messages about the harmful impacts of child marriage and reporting to the local authorities when he hears of a marriage of a young girl taking place.

Even Rubina's husband has started attending one of the community groups, which she says has helped him become a better parent to their daughter.

Changing social practices that have been the norm for centuries and are deeply embedded in the culture and mindsets is slow. But because of the discussions taking place with the support of Creating Spaces, women are committed to not letting their young daughters suffer the same fate they did.

As we leave Dinajpur and the courtyard we've been sitting in all afternoon, the nearby school children are let out from their classes. They look at us, curious, and I feel sure that with the women in this community watching over them, these girls' lives will be different from their mothers.


Karoline Kemp is Oxfam Canada's International Program Officer for Creating Spaces.

 

Source : Oxfam in Canada

 


 

দিনাজপুর পল্লীশ্রীর উদ্যোগে চিরিরবন্দর উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝ নগদ অর্থ ও ত্রাণ বিতরণ

দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পল্লীশ্রী’র উদ্যোগে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এর সহায়তায়  দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের মাঝে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সমগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পল্লীশ্রী’র উদ্যোগে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এর সহায়তায়  দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ৭নং আউলিয়াপুকুর, ৯নং ভিয়াইল এবং ১০ নং পুনট্টি ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪ শত টি পরিবারের মাঝে প্রত্যেক পরিবারের মাঝে নগদ ৪ হাজার টাকা ও হাইজিন কিট বিতরণ করা হয়। এছাড়াও প্রতিবন্ধী সদস্য আছে এমন ২০টি পরিবারের মাঝে প্রত্যেক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে পল্লীশ্রী’র নির্বাহী পরিচালক শামিম আরা বেগম এর সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম রব্বানী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তরু বালা রায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা সাদেক, অক্সফ্যাম-কনর্সান রিহেবিলেটেশন কো-অর্ডিনেটর।

Source: বীরগঞ্জ প্রতিদিন Birganjpratidin

দিনাজপুর নিউজ

 


দিনাজপুরে আমি এক এবং অনেক প্রকল্পের ইয়ুথ উদ্বুদ্ধকরণ অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হামিদুল আলম !! তরুন সমাজকে অসাম্প্রদায়ীক ও দেশাত্মবোধের চেতনায় উজ্জিবিত করতে হবে 

 

দিনাজপুর থেকে জিন্নাত হোসেন !! অক্সফাম বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় দিনাজপুর পল্লীশ্রী’র বাস্তবায়নেআমি এক এবং অনেক’ প্রকল্পের ইয়ুথদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হামিদুল আলম।

২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিনাজপুর প্রেসক্লাব এম আব্দুর রহিম মিলনায়তনে অক্সফাম বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় দিনাজপুর পল্লীশ্রী’র বাস্তবায়নেআমি এক এবং অনেক’ প্রকল্পের ইয়ুথদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোঃ হামিদুল আলম বলেন, অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে ধর্মকে অপব্যবহার করে সাধারন মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পূজি করে কিছু বিচ্ছিন্ন ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে দন্দ, সংঘাত এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে এবং একই সাথে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে সাধারন মানুষের মধ্যে, বিনষ্ট করছে সামাজিক সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সম্প্রীতি। তিনি বলেন, অবস্থার প্রেক্ষিতে তরুন সমাজকে অসাম্প্রদায়ীক দেশাত্মবোধের চেতনায় উজ্জিবিত করতে এবং তরুন সমাজকে সামাজিক সম্প্রীতি সৌহার্দ্য বজায় রাখতে বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এবং দেশের  উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সমূহ এবং সামাজিক সম্প্রীতি সৌহার্দ্য বজায় রাখতে তরুন সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতেআমি এক এবং অনেক’ এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দিনাজপুর পল্লীশ্রীর প্রোগ্রমা ম্যানেজার সামসুন নাহার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুর রহমান, সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি চিত্ত ঘোষ, জেলা ক্রীড়া মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক মিলি চৌধুরী, পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর শাহীন সুলতানা বিউটি প্রমুখ। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বেবাংলাদেশের উন্নয়ন প্রেক্ষিত উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা সমূহ এবং সামাজিক সম্প্রীতি সৌহার্দ্য বজায় রাখতে তরুন সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক . মাসুদুল হক এবং দ্বিতীয় পর্বেবাংলাদেশের বর্তমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট পরিস্থতি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাবিপ্রবির কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের অধ্যাপক কৃষিবিদ . সাইফুল হুদা।

সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয় এবং মমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মোঃ হামিদুল আলম। অনুষ্ঠানে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ, দিনাজপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, আদর্শ কলেজ, আশ্রমপাড়া, উপশহরসহ বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করে।

 

Source: Dinajpurnews24.com


 

দিনাজপুরে সাড়া জাগিয়েছে নারী ক্লাব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আপডেট: ২০১৬-১১-২৭ ৯:৫৩:১০ এএম

AddThis Sharing Buttons

Share to FacebookShare to TwitterShare to Google+Share to PinterestShare to LinkedIn

দিনাজপুরে সাড়া জাগিয়েছে নারী ক্লাব

দিনাজপুর: দিনাজপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় গঠন করা হয়েছে নারী ক্লাব।

 

সমাজের অবহেলিত ও পিছিয়ে থাকা নির্যাতিত নারীদের অধিকার আদায় ও তাদের জীবন মান নিশ্চিত করতে নারী ক্লাব অবদান রাখায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় নারীদের উন্নয়নে গঠন করা হয়েছে নারী ক্লাব। দিনাজপুরের সর্বস্তরের নারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায় দিন দিন সংগঠনটির মূল্যায়ন বাড়ছে।নারী ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর সমাজের নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের অধিকার আদায় করে জীবনমান নিশ্চিত করা, মাতৃত্বকালীন ও শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্যসেবা‍, দরিদ্র্য পরিবারের শিশুদের প্রাক-প্রাথমিকে পড়াশুনার ব্যবস্থা ও অত‍ঃপর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাসহ সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।

 

দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪ নং শেখপুরা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ভ্যান চালক রহিম উদ্দিনের স্ত্রী রজিনা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, ২ মাস আগে তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। অভাবের সংসারে মাতৃত্বকালীন চিকিৎসার যাবতীয় খরচ নিয়ে খুবই চিন্তায় ছিলাম। এ অবস্থায় নারী ক্লাব আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে বাড়িয়ে দিয়েছিল সহযোগিতার হাত। এখনও তারা খোঁজ রাখছেন ও প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করছেন।অপরদিকে, সদ্য বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া একই এলাকার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বাংলানিউজকে বলে, পরিবারের সদস্যরা পড়াশুনা বন্ধ করে আমার বিয়ে ঠিক করেন। এসময় নারী ক্লাবের সদস্যরা আমাদের বাড়িতে এসে অভিভাবকদের বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝালে তারা আমার বিয়ে বন্ধ করেন।  পরে পড়াশুনা অব্যাহত রাখতে এখন পরিবারের সদস্যরাই আমাকে উৎসাহিত করছেন। এ কারণে আমি নারী ক্লাব ও পল্লী শ্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।  দিনাজপুর নিশ্চিন্তপুর নারী ক্লাবের আহ্বায়িকা শিউলি আক্তার বাংলানিউজকে জানান, দিনাজপুর পল্লী শ্রীর উদ্যোগে গঠন করা হয় নারী ক্লাব। গঠনের পর থেকেই ক্লাবটি সমাজের পিছিয়ে থাকা নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। এছাড়া মাতৃত্বকালীন ও শিশু কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, শিশু শিক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অবদান রেখে আসছে। তবে সরকারের সহযোগিতা পেলে নারী ক্লাবের মাধ্যমে নারী সমাজ আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৬

আরএ

 

Source: Bangla News 24.com


লুডু খেলে সচেতন হচ্ছেন দিনাজপুরের নারীরা

মাহেদুল ইসলাম রিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আপডেট: ২০১৬-১১-২৩ ১০:১৪:০৪ এএম

AddThis Sharing Buttons

Share to FacebookShare to TwitterShare to Google+Share to PinterestShare to LinkedIn

লুডু খেলে সচেতন হচ্ছেন দিনাজপুরের নারীরা

 

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

 দিনাজপুর: লুডু খেলে পারিবারিক সহিংসতা বিষয়ে সচেতন হচ্ছেন দিনাজপুরের নারীরা।  আর এ ব্যাপারে তাদের সাহায্য করছে পল্লী শ্রী নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)। দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪ নং শেখপুরা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রাম। এখানে বসবাস করে প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবার। এখানকার নারীরা প্রতিদিন বিকেলে লুডু খেলে তাদের অবসর সময় কাটান। লুডুই তাদের একমাত্র বিনোদন। গত এক বছর থেকে ওই গ্রামের নারীদের মধ্যে পারিবারিক নির্যাতন রোধে সচেতনতা বাড়াতে পল্লী শ্রী এই লুডু খেলাটিকে একটু ভিন্ন পদ্ধতিতে শিখিয়েছেন। বর্তমানে এই এলাকার নারীরা লুডু খেলে পারিবারিক নির্যাতন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের এর কুফল সম্পর্কে জানাচ্ছেন। ফলে ওই গ্রামে কমতে শুরু করেছে পারিবারিক সহিংসতা। গত এক বছর ধরে ওই গ্রাম ও এর আশপাশের এলাকার নারীদের লুডু খেলার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।দিনাজপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা লুডু খেলার মাধ্যমে পারিবারিক নির্যাতন সম্পর্কে সচেতন হয়ে গড়ে তুলেছেন প্রতিবাদী দল। ইতোমধ্যে সচেতন এই নারীরা সমাজের নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের পারিবারিক নির্যাতনের কুফল সম্পর্কে ধারণা দিয়ে পরিবারে এনেছেন পরিবর্তন।এ খেলায় অংশগ্রহণকারী দিনাজপুর সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রুবিনা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ছোট থেকে দেখেছি নারীরা অবসর সময়ে লুডু খেলতেন। কিন্তু গ্রামগঞ্জে লুডু খেলা যখন বিলুপ্ত ঠিক তখনই দিনাজপুর পল্লী শ্রীর পরিকল্পনা ও উদ্যোগে ভিন্ন পদ্ধতিতে চালু হয় লুডু খেলা।প্রায় পাঁচ ফুট কাপড় দিয়ে তৈরি এই লুডুর ঘর। লুডুটিতে ২৫টি ঘর রয়েছে। যার প্রতিটি ঘরে পারিবারিক নির্যাতন সম্পর্কে রাখা হয়েছে একটি করে প্রশ্ন। এই লুডু খেলায় অংশগ্রহণকারীদের প্রথমে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়া হয়। খেলোয়াররা যে যখন যে ঘরে গিয়ে পৌঁছাবে সে ঘরের প্রশ্নের উত্তর তাকে দিতে হবে।এভাবে খেলতে খেলতে পারিবারিক নির্যাতন সম্পর্কে সচেতন হই আমরা। সচেতনতা বৃদ্ধির পর নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়াই। এখন নারী নির্যাতনের কথা শুনলেই আমরা সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করি, নির্যাতিত সেই নারীকে সাহায্য করি এবং পরিবারের পুরুষটিকে বোঝাই।

 

লুডু খেলার মাধ্যমে সচেতন হওয়া নারীদের কাছ থেকে উপকৃত পারিবারিক নির্যাতনের শিকার দিনাজপুর সদর উপজেলার ৮ নং রেলঘুন্টি এলাকার ট্রাক চালক আব্দুর রহমানের স্ত্রী নূরজাহান বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্বামী এক সময় কারণে-অকারণে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। আমি মনে করতাম এটা তার অধিকার।একদিন তার নির্যাতনে গুরুতর আহত হই। তখন সচেতন ওই নারীরা আমার পাশে দাঁড়ায়। তারাই চিকিৎসার মাধ্যমে আমাকে সুস্থ করে তোলে। পরে তারা আমার স্বামী ও আমাকে পারিবারিক নির্যাতনের কুফল সম্পর্কে বোঝায়। এরপর থেকে আমার স্বামী আর কখনো আমার ওপর নির্যাতন করেননি। বর্তমানে আমাদের সুখি পরিবার।বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬

আরএ

 

Source: Bangla News 24

 


Community-based food bank ensures food security of poor people

DINAJPUR, Dec19, 2015 (BSS) - Community-based food bank helps ultra poor people of Kaharole upazila in Dinajpur district ensuring their food security and reducing their poverty.

Women of the poor households of Sondoil village at Katharine upazila save a little amount of rice everyday while cooking their daily meals, and at the end of the month, they deposit the rice to the food bank. About 37 households are currently depositing two kilograms of rice each in every month.

The poor households of the village take lend of rice during lean period (Ashshin-Kartik months) when they face acute food crisis due to lack of work. And the families return the rice they lent to the food bank after harvesting of food grains.

Maloti Rani, a mother of three children, said his family faced acute food crisis during last Ashshin-Kartik months as her husband lost his work, forcing her family in trouble.

"Nobody came forward to help us when we were in trouble. I took lend of 20 kilograms of rice from the food bank during the period, which really helped us address our food crisis," she said.

Maloti said if she takes loan from local lenders to meet food demand during emergency, she will have to pay high interest, which would put extra burden on her family. "As I took lend of rice from the food bank, I do not feel any pressure now," she added.

Not only Maloti, but a number of poor households of the village lent rice from the food bank this year. Jamuna Rani (30) and Kamol (35) took 20 kilograms of rice each from the food bank while Bhuveneshar Chandra Sarkar lent 40 kilograms of rice as he has more family members.

Depicting the untold sufferings of her family during lean period this year, Jamuna Rani said the food bank has come as blessing for the poor to cope with their food crisis during emergency.

The local community people set up their innovative food bank at Sondoil village and formed Sondoil Shimul Gonosangaton, a community based organisation, in 2013 with support from the Food Security Governance Project. Local NGO Pollisree is implementing the project with financial assistance from European Union and Oxfam. Five food banks have already been set up in Kaharole upazila under the project.

The poor households preserve a specific amount of rice in the food bank to meet food demand in any emergency and additional food grains of the bank they provided is sold in market to create a fund to ensure their financial security.

"We have now Tk 50,000 in the fund. If we face any emergency, we can take loan from the fund with zero interest. So, now we do not feel financially insecure," Maloti said.

Pollisree project officer Moinul Haque Bappy said the food bank is not only ensuring food security of poor people living at Sondoil village, but also ensuring their financial security. So, such food bank could be set up across the country to help the rural poor improve their livelihood, he said.

 

Source: Bangladesh Sangbad Sangstha


 

দিনাজপুরে পল্লী শ্রী উদ্যোগে কিশোরীদের ফুটবল প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত 

Posted by: News Desk 22 ডিসেম্বর 2015 

দিনাজপুরে পল্লী শ্রী’র উদ্যোগে কিশোরীদের ফুটবল প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত 04 দিনাজপুর সংবাদাতা ॥ ২৫ নভেম্বর -১০ ডিসেম্বর পযন্ত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন উপলক্ষে পল্লী শ্রী, দিনাজপুর ব্যাপক কর্মসূচী পালন করে। তার মধ্যে ১৬ দিনব্যাপী বিভিন্ন জেলা শহরসহ উপজেলা পর্যায়ে কিশোরীদের ফুটবল খেলা প্রতিযোগিতা এক অনন্য দৃষ্টান্ত বয়ে আনে।

এরই ধারাবাহিকতার ন্যায় গতকাল দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় কিশোরীদের ফুটবল প্রীতি ম্যাচ। এই ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ওয়াজিফা সামাদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং মানিকপীর উচ্চ বিদ্যালয়।

দিনাজপুরে পল্লী শ্রী’র উদ্যোগে কিশোরীদের ফুটবল প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত 05

উক্ত ম্যাচে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর সহকারি দায়রা জর্জ আদালতের পিপি এ্যড.আতাউর রহমান, নার্সিং ইন্সটিটিউটের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ডাঃ শারমীন সাত্তার, পিডিবি’র অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মোঃ মোশাররফ হোসেন, মানিকপীর উচ্চ বিদ্যালয় এর সিনিয়র শিক্ষক সেলিনা আজাদ, ওয়াজিফা সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের হাজেরা বেগম, পল্লী শ্রী’র রওনক আরা হক,শাহেজাদী শিরিন, একেএম শামসুদ্দীনসহ পল্লী শ্রী’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীবৃন্দ।

ফুটবল প্রীতি ম্যাচে মানিকপীর উচ্চ বিদ্যালয় ৩-০ গোলে ওয়াজিফা সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে শিরোপা জয় করে। প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শেষে বিজয়ীদের মাঝে ট্রফি প্রদান করা হয়।

সূত্রঃ দিনাজপুর নিউজ

 


ডিসেম্বর ০১, ২০১৫ মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪২২, ১৮ সফর ১৪৩৭, ১১:৪১ এএম

১ ডিসেম্বর ২০১৫ ৫:২৭:০০ এএম মঙ্গলবার
দিনাজপুরে দ. এশীয় নারী দিবসে সভা ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দিনাজপুর: দক্ষিণ এশীয় নারী দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরে আলোচনা সভা ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আয়োজন করেছে বেসরকারি সংস্থা পল্লীশ্রী।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধায় সংস্থাটির হল রুমে এ সভা ও কার্যালয় সম্মুখে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পল্লীশ্রী’র নির্বাহী পরিচালক শামিম আরা বেগম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহ্ মো. শাহজাহান, সাবেক মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সন্ধ্যা রানী বাগচি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, লেখক লায়লা চৌধুরী, অনন্যা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কানিজ ফাতেমা প্রমুখ।

এর আগে, বিকেলে সংস্থাটির উদ্যোগে নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার সংগলশি ইউনিয়নে বিবাহিত কিশোরীদের মাঝে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।


সূত্রঃ বাংলা নিউজ 24.কম
 


 

আজ রবিবার, নভেম্বর ২৯, ২০১৫ ....১৫ অগ্রহায়ণ ১৪২২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস পালিত

November 25, 2015   দিনাজপুর, সর্বশেষ সংবাদ, স্লাইড শো

জিন্নাত হোসেন ॥ দিনাজপুরে বুধবার আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়েছে।

আজ বুধবার দিনাজপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস উপলক্ষে এনজিও পল্লীশ্রী র্যালীর আয়োজন করে। পরে দিনাজপুর প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের এক লিখিত বক্তব্যে জানানো হয় যে, ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন করা হবে। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে বক্তব্যে বলা হয় গত ৪ মাসে দিনাজপুরে নির্যাতনের ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৩টি ধর্ষণ, ২টি ধর্ষণ চেষ্টা, ২টি অপহরণ, ২টি শিশু হত্যা, ১১টি হত্যা, ১টি হত্যা চেষ্টা, ৭টি আত্মহত্যা এবং ১টি যৌন হয়রানী। এর মধ্যে ৬টি ঘটনার আইনী বিচার ও ১০টি ঘটনা শালিসের মাধ্যমে নিস্পত্তি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাল্য বিবাহের ভয়াবহতার উল্লেখ করে বলা হয় যে, গত ১০ বছরে নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলায় ৫ হাজার টি বাল্য বিবাহ হয়েছে। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পল্লীশ্রী’র নির্বাহী পরিচালক শামীম আরা, সুরাইয়া আখতার, শামসুন নাহার, শামীম আরা পপি, রওনক আরা নিপা, ফৌজিয়া ইয়াসমিন, মোস্তফা কামাল, সাংস্কৃতিক সংগঠক শাহজাহান শাহ, লেখিকা লায়লা চৌধুরী, শিক্ষক মাহবুব জামাল চৌধুরী, রাজনীতিক আবুল কালাম আজাদ এবং প্রেসকাবের সভাপতি চিত্ত ঘোষ।

 সূত্রঃ দিনাজপুর টাইমস


 

 

আজ রবিবার, নভেম্বর ২৯, ২০১৫ ....১৫ অগ্রহায়ণ ১৪২২ বঙ্গাব্দ

কাহারোলে পল্লীশ্রীর মতবিনিময় সভায়

November 25, 2015   দিনাজপুর, সর্বশেষ সংবাদ

সোহাগ, কাহারোল ॥ বর্তমান সরকার নারীদের ক্ষমতায়নে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এই সরকারের আমলে নারীরা প্রতিটি সেক্টরে দায়িত্ব পালন করে দেশের উন্নয়নে কাজে তদান্বিত করছে। তাই নারীরা পিছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তারা আজ সর্বক্ষেত্রে সাবলম্বী হয়ে উঠেছে। নারীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে। তারা আজ ঘরে বসে নেই। উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন পল্ল¬ীশ্রীর সিবিও সদস্যদের সাথে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের মত বিনিময় সভায় বক্তারা। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি প্রকল্প পল্ল¬ীশ্রী দিনাজপুরের আয়োজনে এবং ব্রেড ফর দ্যা ওয়াল্ড জার্মানী সহযোগীতায় আজ বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ পূর্ণভবার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশিদ চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ, উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু সাইদ, উপজেলা কৃষি অফিসার আখেরুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার রাজিউর রহমান, পল্ল¬ীশ্রীর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সেলিম রেজা প্রমুখ। জানা যায়, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন, কমিউনিটি বেইজ অর্গানাইজেসন সমূহের সাথে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের যোগ সুত্র তৈরী, কমিউনিটি বেইজ অর্গানাইজেসন সমূহের সেবা প্রাপ্তিতে সেবাদনকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সহযোগীতার মনোভাব তৈরীর লক্ষ্যে আজ এই মত বিনিময় সভার আয়োজন। সভায় সঞ্চালনায় ছিলেন নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি প্রকল্পের প্রোগ্রাম ফেসিলিটেটর ফারহানা সিদ্দিকী।

সূত্রঃ দিনাজপুর টাইমস


 

 

আজ বুধবার, অক্টোবর ২৮, ২০১৫ ....১৩ কার্তিক ১৪২২ বঙ্গাব্দ 

দিনাজপুর মুষ্ঠির চালে সমম্বিত ফুড ব্যাংক 

October 26, 2015   ফিচার

-: আজহারুল আজাদ জুয়েল :-

রেজিনা, সুলতানা, মারুফা, সেলিনা, তহুরা, বেবি আরা’রা হলেন শিবকুড়ি গ্রামের গৃহবধূ। আর সব গ্রামের গৃহবধুরা যেমন, তাঁরাও তাই। তাঁরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠেন, ঘর-বারান্দা-আঙ্গিনা ঝার দেন, গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগী ছেড়ে দেন, বাড়ির বাইরে তাড়িয়ে নেন, গোবরগুলো বাইরে ফেলে আসেন, তারপর রান্না করেন, স্বামী-সন্তানদের খাওয়ান, নিজেরা খান। এভাবে তারা তাদের নিত্যকর্ম সারেন আর সব সাধারণ গৃহবধূদের মত।
কিন্তু এইসব কাজের বাইরে আরেকটি কাজ করেন তারা, যা তাদেরকে অন্য গৃহবধূদের চেয়ে একটু ভিন্নতা এনে দিয়েছে। স্বামীদের কাছে সম্মানিত হ”্ছে এবং পরিবারে ও সমাজে নিজেকে ক্ষমতায়িত করেছে।
তারা নৈমিত্তিক কাজের ফাঁকে প্রতিদিন এক মুষ্ঠি করে চাল সংগ্রহ করছেন। ব্যক্তিগত সংগ্রহের এই চাল প্রতি ১৫ দিন অন্তর “সমন্বিত ফুড ব্যাংক” এ জমা করছেন। চাল জমিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সৃষ্টির পাশাপাশি নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন।
শিবকুড়ি গ্রামটি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলাধীন পুনট্টি ইউনিয়নের একটি বিশেষ গ্রাম। এখানকার নারীরা পল্লীশ্রী নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠণের সহযোগিতায় বিভিন্ন ইস্যুতে সচেতন হয়েছেন এবং নারী কাব গঠণের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। ফুড ব্যাংকে চাল জমা রেখে খাদ্য নিরাপত্তা সৃষ্টিতে এবং পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখা তাদের সচেতনতার একটি বহিঃপ্রকাশ।
‘ইরি লাগানোর সময় আমাদের অভাব থাকে। চাউলের সংকট থাকে। তখন ফুড ব্যাংকে জমানো চাউল নিয়ে নিজের প্রয়োজন মেটাই।’ জানালেন শিবকুড়ি নারী কাব সদস্য সুলতানা রাজিয়া।
দুই সন্তানের জননী সুলতানার স্বামী মমতাজ আলী হলেন একজন সাধারণ কৃষক। যিনি নিজেও তার স্ত্রীর সাথে মুষ্ঠির চাল ফুড ব্যাংকে নিয়মিত জমা করে আসছেন। মমতাজ জানালেন, আগে তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। ঘর-বাড়ি ভাঙ্গা ছিল। এখন অবস্থা বদলেছে। আগের মত দুঃখ, কষ্ট তাদের নেই।
পল্লীশ্রীর সহযোগিতায় গড়ে ওঠা এই নারী কাবে সদস্য রয়েছেন ৩৮ জন। যারা রেজিনার মত নিজেদের বাড়িতে মুষ্ঠির চাল সংগ্রহ করে ১৫ দিন অন্তর সমন্¦িত ফুড ব্যাংকে জমা দিচ্ছেন। ১৮ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে সফল নারী রেজিনার সাথে আলাপ হয় তাঁর শিবকুড়ির বাড়িতে। তিনি বলেন, আমরা ইংরেজী মাসের ৫ হতে ১০ তারিখের মধ্যে আমাদের মুষ্ঠির চাল ফুড ব্যাংকে জমা করে দেই।
কাবের আরেক সদস্য বেবি আরা (৩৫) বলেন, চাল জমা দেয়া হয় ওজন করে। জন প্রতি ১৫ দিনে ১ কেজি, এক মাসে ২ কেজি করে চাল জমা হয়। ১৫ দিনে কারো কারো মুষ্ঠির চাল ১ কেজির বেশি হয়ে যায়। তখন অতিরিক্ত চাল ফেরত দিয়ে শুধু ১ কেজি রাখা হয়। আবার কারো চাল ১ কেজির চেয়ে কম হলে তাকে আরো চাল দিয়ে ১ কেজি পুরণ করে দিতে বলা হয়।


হিসাবে যেন গোলমাল না হয়, সেই জন্য এই ব্যবস্থা বলে জানালেন সেলিনা বেগম, নারী কাবের আরেক সদস্য।
ভাতের চাল ঝারা, বাছার পর এক মুষ্ঠি চাল আলাদাভাবে তুলে রাখা বাংলাদেশের গৃহবধূদের একটি প্রাচীন সংস্কৃতি। এই পদ্ধতিতে চাল সংগ্রহের পর বিপদের সময় কাজে লাগানোর প্রথাটি সাম্প্রতিক কালে প্রায় উঠে গেছে। কিন্তু এই প্রথা নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে সহায়ক বলে মনে করছে পল্লীশ্রী। সংগঠণটি নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে। তাদের একটি কর্মসূচির নাম ‘নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি প্রকল্প।’ এই প্রকল্পের আওতায় গ্রহণ করা হয় সমন্বিত ফুড ব্যাংক কর্মসূচি।
পল্লীশ্রীর নির্বাহি পরিচালক শামীম আরা বেগম বলেন, এক সময় উত্তরবঙ্গের দরিদ্র মানুষ চরম খাদ্য সংকটে থাকত। সংকট মোকাবেলার জন্য অনেকে শ্রম ও ফসল আগাম বিক্রি করে দিত। কেউ কেউ জমি বর্গা দিত। এর সাথে মহাজনি প্রভাব, নারী নির্যাতনের বিষয়গুলি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত থাকত। এই প্রেক্ষাপটে আমরা তখন ভাবি যে, মহিলাদের মুষ্ঠির চাল সংগ্রহের পদ্ধতিকে যদি সাংগঠনিক রুপ দেয়া যায়, তাহলে তাদের ক্ষমতায়নে এবং মহাজনি দৌরাত্ব দূরীকরণে তা গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখতে পারবে। আমাদের এই ভাবনা ১৯৯৩ সালে পুনট্টি ইউনিয়নের চকমুসা গ্রামে রুপালী নারী দলের সদস্যদের মাঝে শেয়ার করি। মুষ্ঠির চাল সমন্বিত ভাবে জমা করার বিষয় নিয়ে রুপালী নারী দলের সদস্যরা আলোচনা করেন। তারা একমত হলে তাদেরকে সহায়তা করতে আমরা রাজি হই। চকমুসার উদ্যোগ পরে ‘নারীর ক্ষমতায়নে সুযোগ সৃষ্টি প্রকল্প’র মাধ্যমে পল্লীশ্রীর অন্যান্য কর্ম এলাকাতেও ছড়িয়ে দেই।
শামীম আরার মতে, বর্তমানে খাদ্য সংকট তখনকার মত প্রকট না হলেও নারীর ক্ষমতয়নে এই কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়নি।
‘নারীর ক্ষমতায়নে সুযোগ সৃষ্টি প্রকল্প এর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ সেলিম রেজা বলেন, পল্লীশ্রী নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড- জার্মানী’র সহায়তায় সমন্বিত ফুড ব্যাংক কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এর উদ্দেশ্য হলো; কমিউনিটি পর্যায়ে খাদ্য সংরক্ষণ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সংকটকালীন সময়ে অতি দরিদ্র মানুষের খাদ্য ঘাটতি পুরণ করা, দাদন ব্যবসায়ী ও মহাজনদের হাত হতে অতি দরিদ্রদের সম্পদ রক্ষা ও বৃদ্ধি করা, আগাম শ্রম ও ফসল বিক্রি বন্ধ করা, এবং নারী নির্যাতন হ্রাস করা।
পল্লীশ্রী চকমুসার নারী সদস্যদের চাল সংগ্রহের জন্য একটি খাদ্য গোলা দেয়। নিজ নিজ বাড়িতে জমানো চাল ১৫ দিন অন্তর এই বাক্সে বা ব্যাংকে জমা দেয় সদস্যরা। সকল সদস্যের সমপরিমান চালে ব্যাংক ভর্তি হয়ে গেলে ৪০ কেজি রেখে বাকি চাল বিক্রি করে দেয়া হয়। বিক্রি হওয়া চালের টাকা পরে সদস্যদের মাঝে বন্টন করা হয়।
চকমুসায় কর্মসূচি সফল হওয়ার পর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ পর্যন্ত ২৫টি ফুড ব্যাংক গড়ে উটেছে। এর মধ্যে চিরিরবন্দরের শিবকুড়ি,ব্রম্মপুর, বাসুদেবপুর, অমরপুরে ৪টি, কাহারোলের বনড়া, পৌরিয়া, দৌলতপুর, রামচন্দ্রপুরে ৪টি, বিরলের ঢেলপীর, ভগবানপুর, কাশিডাঙ্গা, দামাইলে ৪টি, ফুলবাড়ির সূর্যপাড়া, জামাদানী, মোক্তারপুর, পাকাপান গ্রামে ৪টি, বীরগঞ্জের চকমহাদেব, ব্রাম্মনভিটা, মাঝবোয়াল ও চৌপুকুরিয়ায় ৪টি এবং সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, সব্জীবাগান, গোয়ালপাড়া,বড়মনিপুর ও মিয়াজিপাড়ায় ৫টি সমন্বিত ফুড ব্যাংক রয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি প্রকল্পের- চঙডঊচ এর প্রোগ্রাম ফ্যাসিলিটেটর শাহীন আখতার জানালেন, বর্তমানে ২৫টি সমন্বিত ফুড ব্যাংকে ১ হাজার ৮০ কেজি চাল মজুদ রয়েছে। এই মজুদ সার্বক্ষণিকভাবে রাখা হয় যেন সদস্যরা খাদ্য সংকটে পড়লেই মজুদ থেকে প্রয়োজনীয় চাল নিতে পারেন।
তিনি জানালেন যে, সাধারনত প্রতিটি ফুড ব্যাংকে ৪০ কেজি চাল মজুদ রেখে অতিরিক্ত চাল বিক্রি করে দেয়া হয়। চাল বিক্রির টাকা সঞ্চয়ে রেখে যার যখন প্রয়োজন তিনি তার টাকা তুলে নিয়ে প্রয়োজন মত কাজে লাগাতে পারেন।
চিরিরবন্দরের সমন্বিত ফুড ব্যাংক কর্মসূচির গুরুত্বপুর্ণ একটি গ্রাম হলো খেরকাটি। এর সদস্যরা মুষ্ঠির চালের টাকায় অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। মুষ্ঠির চাল বিক্রির টাকা দিয়ে জ্যোসনা, সায়মা, মনজুয়ারা, আনোয়ারা, মনোয়ারা, নূরজাহান গাই-বাছুর ও গরু কিনেছেন, ধনবালা, সুমিতা, আয়শা, সামিয়া, রোকেয়া, রাজিয়া, হালিমা, বিলকিস , তাহেরা, মামনি, পারুল, ফাতেমা, শাহিনা ছাগল ও ভেড়া কিনেছেন। মৌসুমী ও সোমেনা কিনেছেন স্বর্ণের দুল। ফজিলা, খাদিজা ও রুবিনা কিনেছেন ঘরের দরজা। মমিনা কিনেছেন মেলামাইনের গামলা।
মুষ্ঠির চালের টাকায় কেউ কেউ স্বামী, সন্তানের চিকিৎসা খরচ চালিয়েছেন। এরকম কয়েকজন হলেন জ্যোসনা, জাহেদা। সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছেন নুরবানু। চালের টাকা ব্যবসায় খাটিয়েছেন খাদিজা। এভাবে মুষ্ঠির চাল বিক্রির টাকা বহুমুখি কাজে ব্যবহার করেছেন সমন্বিত ফুড ব্যাংক বা নারী কাবের সদস্যরা। মনজুয়ারার ১৬ হাজার টাকায় কেনা আড়িয়া এবং মনোয়ারার ১২ হাজার টাকায় কেনা গাভীন গরু এখন আরো বড় ও তাজা হয়েছে। মনজু বলেন, মুষ্ঠির চাল আগেও জমাতাম। কিন্তু গরু কিনতে পারিনি। তখন অল্প কয়েক কেজি চাল জমা হলেই তা সংসারের কাজে লাগিয়েছি। কিন্তু ফুড ব্যাংকে চাল জমিয়ে টাকার অংক বড় করতে পেরেছি এবং গরু কিনেছি। এর ফলে আম্রা মধ্যে সাহস এসেছে যে, মুষ্ঠির চালে হয়তো আরো মূল্যবান কিছু নিতে পারব।
চকমুসায় সমন্বিত ফুড ব্যাংক কর্মসূচি চালু হয়েছে ২১ বছর আগে। কিন্তু শিবকুড়ি গ্রামে চালু হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। এখানে নারীদের পাশপাশি কয়েকজন পুরুষও এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন। এরা হলেন সুলতানা রাজিয়ার স্বামী মমতাজ আলী, মারুফ বেগমের স্বামী সাইফুল ইসলাম, সেলিনা বেগমের স্বামী আব্দুল কাদের, মোছাঃ বেগমের স্বামী বেলাল হোসেন, সারাবান তহুরার স্বামী জহুরুল ইসলাম এবং রেজিনা ইয়াসমিনের স্বামী কামরুজ্জামান।
পুরুষ সদস্যদের কাছে প্রশ্ন ছিল, মুষ্ঠির চালে আপনি কেন?
উত্তরে কামরুজ্জামান বলেন, আমার স্ত্রী মাসে ২ কেজি করে চাল ফুড ব্যাংকে রাখায় বিপদের সময় যথেষ্ট উপকার পাইছিলাম। আমি ভাবি, আমার নামেও যদি চাল জমা করতে পারি, তাইলে দুই নামে আমাদের অনেক চাল জমবে। ঐ চাল বড় কাজে লাগাতে পারব ভেবে আমি মুষ্ঠিরচালে যোগ দিয়েছি।
অন্যদের বক্তব্যও একই রকম। স্ত্রীদের চাল সংগ্রহের এই পদ্ধতিকে তারা সমর্থন করেন। তাই সংসারের উন্নয়নের স্বার্থে তারা নিজেরাও এর সাথে যুক্ত হয়েছেন বলে জানালেন।
দিনাজপুর জেলায় সমন্বিত ফুড ব্যাংক কর্মসূচি একটি আলোচিত এবং নন্দিত কর্মসূচি। নারীদের ক্ষমতায়ন ও খাদ্য নিরাপত্ত সৃষ্টিতে এই কর্মসূচি যাত্রা করলেও এখন অনেক স্থানে পুরুষেরাও এর সাথে যুক্ত হয়ে স্ত্রীদের উৎসাহিত করছেন।
সাংবাদিক ও কলামিষ্ট, পাটুয়াপাড়া, দিনাজপুর, মোবাঃ ০১৭১৬৩৩৪৬৯০ ইমেইল- a.azadjewel@gmail.com 

 

১৫ই অক্টোবর, ২০১৫ ইং ৩০শে আশ্বিন, ১৪২২ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  সকাল ১১:৫৭


 

বিবাহিত কিশোরীদের নিয়ে পল্লী-শ্রীর প্রতিযোগীতা

প্রকাশক: নিউজ ডেস্ক | তারিখ: ১৩ October ২০১৫ | বিভাগ: রংপুর বিভাগ | |

 

নীলফামারী: পল্লীশ্রীর ইমেজ প্রকল্পের উদ্যোগে নীলফামারীতে কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে বিবাহিত কিশোরী সহ তাদের শ্বশুর-শাশুড়ি,ননদের সাথে নিয়ে সমাবেশ করা হয়েছে। সেই সমাবেশের মাধ্যমে কিশোরীদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা করা হয়। প্রতিযোগীতা শেষে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় পুরস্কার। অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে সমবেত হয় হাজারো উৎসুক নারী পুরুষ

পল্লী শ্রীর ইমেজ প্রকল্পের নীলফামারীর ম্যানেজার লিলিমা রানীর সঞ্চালনায় বিকাল তিনটায় জেলা সদরের সংগলশী ইউনিয়নে কাজী আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয় ওই সমাবেশে আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সংগলশী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভুমি) ফখরুল হাসান। উক্ত অনুষ্ঠানে কন্যা শিশু দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পল্লীশ্রী ইমেজ প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর জনাব শামসুন নাহারঅন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক শাহানাজ বেগম ছবি, কাজী দৌলত হোসেন, শামসুজ্জামান জুয়েল, আব্দুর জব্বার শাহ প্রমুখ

এর আগে গত ১১ অক্টোবর দিবসটি উপলক্ষে পল্লী শ্রীর ইমেজ প্রকল্পের পক্ষে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে এক বর্ণাঢ্য ্যালী শিল্পকলা একাডেমী অডিটেরিয়ামে আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া গ্রহন করা হয়েছিল

 Others news link:

01. http://www.abnews24.com/article.php?details=22492

02. http://dimlanews24.com/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81-%E0%A6%A6/

03. http://www.obolokon.com/2015/10/nilphamari_13.html

04. http://uttorbangla.com/?p=82127

 

দিনাজপুর টাইমস

আজ রবিবার, নভেম্বর ২৯, ২০১৫ ....১৫ অগ্রহায়ণ ১৪২২ বঙ্গাব্দ

 

কাহারোলে পল্লীশ্রীর মতবিনিময় সভায়

November 25, 2015   দিনাজপুর, সর্বশেষ সংবাদ

 

সোহাগ, কাহারোল ॥ বর্তমান সরকার নারীদের ক্ষমতায়নে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এই সরকারের আমলে নারীরা প্রতিটি সেক্টরে দায়িত্ব পালন করে দেশের উন্নয়নে কাজে তদান্বিত করছে। তাই নারীরা পিছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তারা আজ সর্বক্ষেত্রে সাবলম্বী হয়ে উঠেছে। নারীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে। তারা আজ ঘরে বসে নেই। উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন পল্ল¬ীশ্রীর সিবিও সদস্যদের সাথে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের মত বিনিময় সভায় বক্তারা। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি প্রকল্প পল্ল¬ীশ্রী দিনাজপুরের আয়োজনে এবং ব্রেড ফর দ্যা ওয়াল্ড জার্মানী সহযোগীতায় আজ বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ পূর্ণভবার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশিদ চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ, উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু সাইদ, উপজেলা কৃষি অফিসার আখেরুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার রাজিউর রহমান, পল্ল¬ীশ্রীর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সেলিম রেজা প্রমুখ। জানা যায়, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন, কমিউনিটি বেইজ অর্গানাইজেসন সমূহের সাথে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের যোগ সুত্র তৈরী, কমিউনিটি বেইজ অর্গানাইজেসন সমূহের সেবা প্রাপ্তিতে সেবাদনকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সহযোগীতার মনোভাব তৈরীর লক্ষ্যে আজ এই মত বিনিময় সভার আয়োজন। সভায় সঞ্চালনায় ছিলেন নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি প্রকল্পের প্রোগ্রাম ফেসিলিটেটর ফারহানা সিদ্দিকী।